।। জিতেশ ভট্টাচার্য ।।
==========
এক ব্যক্তি দিবসব্যাপী প্রাণান্ত অধ্যবসায়ে সাগরের জলে পোয়াটাক নিষ্ঠীবন নিক্ষেপ করিয়া পরমসন্তোষ লাভ করতঃ স্বগৃহে ফিরিয়া আসিল। নিশাভাগে অপরাপর দিনের তুলনায় কিঞ্চিৎ গুরুভোজন করিয়া নিশ্চিন্ত মনে গভীর নিদ্রা যাইল। প্রাতঃকালে ‘আমি সাগরের সমুদয় উদক পবিত্র করিয়া দিয়াছি’ জাতীয় শ্লাঘাত্মক বাক্যোচ্চারণপূর্বক লোকটি সম্পূর্ণ গ্রাম পরিক্রমা করিয়া মধ্যাহ্নভোজনের আগ্রহে গৃহে প্রত্যাবর্তন করিল। বার্ত্তাটি গ্রাম-গ্রামান্তরে রটিতে বিশেষ সময় লইল না। তাহার এই অমানুষিক কীর্ত্তিতে আম্রমানবগণ বিলক্ষণ প্রভাবিত হইল।
বৈকালে তাহার সমমনস্ক লোকজন আসিয়া জয়ধ্বনি সহযোগে তাহার চরণবন্দনা করিল এবং সমগ্র মনুষ্যজাতির জাতমারা এই মহাপুরুষীয় কর্তবের উপর বিবিধ গীতিগাথা রচনা করিল। বলা-ই বাহুল্য যে ব্যক্তিটি অতি স্বল্পকালের ভিতর বিপুলসংখ্যক ভক্ত-সমর্থক লাভ করতঃ সমাজে বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করিল এবং যথাবিধি পূজিত হইতে লাগিল।
কতিপয় বর্ষশেষে ইহাও জানা গেল যে পৃথিবীর তাবৎ জনগণ অপ্রত্যক্ষ পদ্ধতিতে ব্যক্তিটির থুতু পান করিয়া স্বয়ংসিদ্ধভাবে তাহার শিষ্যত্ব বরণ করিয়াছে এবং তাহাকে একমাত্র মহাপুরুষরূপে স্বীকৃতি প্রদান করিয়াছে! এই ঘটনার মাধ্যমে পৃথিবীতে যাবতীয় অশান্তির অবসান ঘটিল এবং অনন্তর নিরবচ্ছিন্ন, অনন্ত শান্তি বিরাজ করিতে লাগিল!
(বিঃদ্রঃ- এই পরমানুগল্পে কাল্পনিক কিছুই নাই, সকলি বাস্তব। কেহ কোন কাল্পনিক বিষয় আবিষ্কার করিলে তাহা নিতান্তই কাকতালীয় বলিয়া ধরিতে হইবে।)
==========
এক ব্যক্তি দিবসব্যাপী প্রাণান্ত অধ্যবসায়ে সাগরের জলে পোয়াটাক নিষ্ঠীবন নিক্ষেপ করিয়া পরমসন্তোষ লাভ করতঃ স্বগৃহে ফিরিয়া আসিল। নিশাভাগে অপরাপর দিনের তুলনায় কিঞ্চিৎ গুরুভোজন করিয়া নিশ্চিন্ত মনে গভীর নিদ্রা যাইল। প্রাতঃকালে ‘আমি সাগরের সমুদয় উদক পবিত্র করিয়া দিয়াছি’ জাতীয় শ্লাঘাত্মক বাক্যোচ্চারণপূর্বক লোকটি সম্পূর্ণ গ্রাম পরিক্রমা করিয়া মধ্যাহ্নভোজনের আগ্রহে গৃহে প্রত্যাবর্তন করিল। বার্ত্তাটি গ্রাম-গ্রামান্তরে রটিতে বিশেষ সময় লইল না। তাহার এই অমানুষিক কীর্ত্তিতে আম্রমানবগণ বিলক্ষণ প্রভাবিত হইল।
বৈকালে তাহার সমমনস্ক লোকজন আসিয়া জয়ধ্বনি সহযোগে তাহার চরণবন্দনা করিল এবং সমগ্র মনুষ্যজাতির জাতমারা এই মহাপুরুষীয় কর্তবের উপর বিবিধ গীতিগাথা রচনা করিল। বলা-ই বাহুল্য যে ব্যক্তিটি অতি স্বল্পকালের ভিতর বিপুলসংখ্যক ভক্ত-সমর্থক লাভ করতঃ সমাজে বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করিল এবং যথাবিধি পূজিত হইতে লাগিল।
কতিপয় বর্ষশেষে ইহাও জানা গেল যে পৃথিবীর তাবৎ জনগণ অপ্রত্যক্ষ পদ্ধতিতে ব্যক্তিটির থুতু পান করিয়া স্বয়ংসিদ্ধভাবে তাহার শিষ্যত্ব বরণ করিয়াছে এবং তাহাকে একমাত্র মহাপুরুষরূপে স্বীকৃতি প্রদান করিয়াছে! এই ঘটনার মাধ্যমে পৃথিবীতে যাবতীয় অশান্তির অবসান ঘটিল এবং অনন্তর নিরবচ্ছিন্ন, অনন্ত শান্তি বিরাজ করিতে লাগিল!
(বিঃদ্রঃ- এই পরমানুগল্পে কাল্পনিক কিছুই নাই, সকলি বাস্তব। কেহ কোন কাল্পনিক বিষয় আবিষ্কার করিলে তাহা নিতান্তই কাকতালীয় বলিয়া ধরিতে হইবে।)
No comments:
Post a Comment